আপনি বিদেশ যেতে গেলে অবশ্যই পাসপোর্ট লাগবে। তবে আপনার পোষা বিড়াল-কুকুর বা যেকোনো শখের প্রাণী যদি সাথে নিতে চান, তাহলে? তারও বানাতে হবে পাসপোর্ট। হ্যাঁ, বিশেষ এই পাসপোর্টের নাম ‘পেট পাসপোর্ট’।
এ ক্ষেত্রে প্রাণীটির কাঁধে এক রকমের মাইক্রো চিপ সেট করবেন পেট সার্ভিসের দায়িত্বরত ভেট। আগে থেকেই দিয়ে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন। নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে বাকি কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেবে পেট ট্রাভেল এজেন্সি। এয়ারলাইন্সের অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারণ হবে উড়াল দেয়ার দিনক্ষণ।
পোষা প্রাণীর বিদেশযাত্রার প্রক্রিয়া জটিল, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। কাগজপত্রের তালিকায় রয়েছে পেট পাসপোর্ট, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এনওসি, ভ্যাকসিন ও মাইক্রো চিপ সার্টিফিকেট। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোচিপ সার্টিফিকেট আর পেট পাসপোর্ট।
এ ব্যাপারে পেট সার্ভিস বিডি লিমিটেড নামের পেট ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব দে যমুনা নিউজকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এরা একটি গ্রুপ, এক প্রসেসেই দুটো দেশে যাওয়া যাবে। আবার পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক রকমের নিয়ম। কিন্তু যুক্তরাজ্যে যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেছে, সো ওদের একটা আলাদা নিয়ম হয়েছে। আগে ওরা ইউরোপিয়ান রুলস ফলো করতো। অপরদিকে আফ্রিকার আলাদা নিয়ম রয়েছে। প্রতিটি দেশের আলাদা নিয়ম আছে।
তিনি বলেন, অনেকের একটা ভুল চিন্তা থাকে, কার্গো মানেই জিনিসপত্রের সাথে যাচ্ছে। ওখানে অনেক লাগেজ থাকবে, মালামাল থাকবে, এতে বিড়াল বা কুকুর মারা যাবে। আসলে ব্যাপারটা এমন না। কার্গোর যে সেকশনে পেট যাবে, সেই সেকশন আগেই থেকেই নির্দিষ্ট করা থাকে। সেখানে অক্সিজেন, লাইট ও তাপমাত্রা সেট করে দেয়া হয়।
এরইমধ্যে দেশে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পেট ট্রাভেল এজেন্সি। যারা নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে পোষা প্রাণী বিদেশে পাঠানো বা দেশে আনার কাজ করে থাকে। পোষা প্রিয় প্রাণীকে বিদেশে নেয়া বা ‘পেট পাসপোর্ট’ ধারণাটি দেশে খুব বেশি পরিচিত না হলেও দিনদিন এ ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।