কলাপাড়ায় অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারিয়ে কাঁদছেন লিটনগাজী

রাসেল মোল্লাঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একট পরিবারের পরনের বস্ত্র ব্যাতিত সব পুরে ছাই হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ফুলতলী বাজার সংলগ্ন দাসের হাওলা গ্রামে লিটন গাজীর বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই পরিবারের ৩ ভরি স্বর্ণ নগদ ১ লক্ষ টাকা ঘর ও অন্যান্য মালামাল সহ আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারটি।

লিটন গাজীর স্ত্রী রহিমা বেগম জানান,দুপুর ২ টার দিকে তিনি ঘরের পিছনে বসে কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় তার ছোট্ট মেয়ে দৌড়ে এসে তাকে বলেন মা ঘরে আগুন লাগছে। এরপর তিনি ও স্বামী লিটন গাজী দৌড়ে এসে দেখতেপান ঘরের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পরেছে। তাৎক্ষনাৎ তাদের ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে।

আগুন নেভাতে আসা কালাম বলেন,তারা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দৌড়ে এসে দেখেন পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পরেছে। আগুনের এতই গতি ছিলো কাছে যাওয়ার কোন পরিস্থিতি ছিলোনা। কারন ঘরে পাঁচটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল এর ফলে আগুনের ভয়াবহতা কয়েক গুনবেড়ে যায়। তারপরও তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ক্ষতি গ্রস্থ লিটন গাজী বলেন,আমাদের পরনের বস্ত্র ছাড়া আমি কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। তা ছাড়াও তার ঘরে আরও ৫ জন ভারাটিয়া ছিলো তাদের মালামালও সব পুরেগেছে। বর্তমানে তিনি সবকিছু হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব। তাই ঘুরে দাড়াতে দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মহিব্বুর মহিব ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন। অগ্নিকান্ডের কারন সম্পর্কে লিটন গাজী বলেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে তার ধারণা।

ধানখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাদা পারভেজ টিনু মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,আমি খবর শুনে তাৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটির কিছুই নাই সব পুরে শেষ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের শীতবস্ত্র দিয়েছি। পরিবারটিকে ঘূরেদাড়াতে সহয়তা করার চেষ্টা করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটির খোঁজ-খবর নিয়ে তাদেরকে শীতবস্ত্র দিয়েছি। এছাড়াও ক্ষতির পরিমাণ লিপিবদ্ধ করেছেন। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরিবারটিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।তিনি আরও জানান,ঘরটিতে আরপিসিএল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক’জন শ্রমিক থাকতো,তাই কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন যাতে তারাও পরিবারটির পাশে দাড়ায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *