কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারা ভারত উত্তপ্ত। দোষীদের ফাঁসি চেয়ে এবার রাজপথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) রোববারের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) কলকাতার রাজপথে দেখা যায়, দাবির কথা লেখা অসংখ্য প্ল্যাকার্ড সহ একটি মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন মমতা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা এম পি এবং বিধায়কেরাও।
ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে ভারতজুড়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মমতা বলেন, ফেক ভিডিও তৈরি করে মানুষকে উত্তেজিত করে দিচ্ছে কেউ কেউ। সব সংবাদ সত্য নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পয়সা কামানোর জন্য, রাজনীতি করার জন্য মিথ্যে ঘটনা বানানো হচ্ছে। দোষীদের ফাঁসি হোক, আমরা ফাঁসির পক্ষে। রাজ্য সরকার কলকাতা পুলিশকে সব রকম সাহায্য করবে। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কথা শুনে কলকাতা পুলিশ কাজ করেছে। সব রকম পরীক্ষা করেছে, ডগ স্কোয়াড পাঠিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শুরু করে, যত এভিডেন্স, সব সংগ্রহ করেছে। রাত দুটো পর্যন্ত আমি ওদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম।
মমতা আরও বলেন, আন্দোলনে আমার জন্ম। আন্দোলনেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষমতা থাকলে আমায় ছুঁয়ে দেখবেন। আমাকে শান্ত থাকতে দিন। যত শান্ত থাকব তত ভালো। না হলে আমি টর্নেডো, সাইক্লোন হয়ে যাই, জীবন্ত লাশ হয়ে যাই। কোথায় মারবেন আমাকে, পুলিশ থাকবে না, একা যাব, গুলি করে মারুন। দেখব কত ক্ষমতা। কিন্তু আমাকে চমকালে ধমকালে কোনো লাভ নেই।
উল্লেখ্য, একজন চিকিৎসকের সাথে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর আবারও প্রশ্ন উঠছে ভারতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে। এর আগে ২০১২ সালে নয়াদিল্লীর একটি চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক শিক্ষার্থী।