আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরাইলি হামলায় হামাসের প্রবাসী উপ-প্রধান সালেহ আল-আরোরি নিহত হয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন তার মৃত্যুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক হামলায় তিনি নিহত হন।
লেবাননের রাজধানীর দক্ষিণ উপকণ্ঠে হাজি নাসরাল্লাহ স্ট্রিটে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। তিন তলার ওই ভবনটি হামাসের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানানো হয়েছে।
আল-আরোরি হিজবুল্লাহ নেতা নাসরাল্লাহর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে বিবেচিত। আজ বুধবার হিজবুল্লাহ নেতার সাথে তার বৈঠকের কথা ছিল বলে জানা গেছে।
লেবাননভিত্তিক আরোরি (৫৭) ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান এবং পশ্চিম তীরে হামাসের রাজনৈতিক শাখার কার্যকর নেতা।
তিনি বেশ কয়েকবার ইসরাইলিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন। ২০১০ সালে ইসরাইলি সৈন্য গিলাদ শালিতের মুক্তির বিনিময়ে তিনি সর্বশেষবারের মতো ছাড়া পেয়েছিলেন। ইসরাইল তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
ইসরাইলের ওই হামলায় হামাসের সাত সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রুপটির শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া। তিনি জানান যে নিহতরা হলেন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-আরোরি; কাসসাম ব্রিগেডের কমান্ডার সামির ফান্দি এবং আজ্জাম আল-আকরা; হামাস সদস্য মাহমুদ জাকি শাহিন, মোহাম্মদ বাশাশা, মোহাম্মদ আল-রায়েস এবং মোহাম্মদ হামুদ।
হানিয়া বলেন, আল-আরোরির মৃত্যু তাদেরকে আরো শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, আল-আরোরি অনেক শক্তিশালী লোক রেখে গেছেন, যারা আমাদের ভূমিকে রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, এসব গুপ্তহামলা ও আক্রমণ আমাদের আরো শক্তিশালী করবে, আমাদের আগের চেয়ে আরো বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করবে। এটা হলো প্রতিরোধ এবং আমাদের আন্দোলনের ইতিহাস। আমরা সবসময় আরো শক্তিশালী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই।
তিনি এই মৃত্যুর প্রতিশোধ গ্রহণের কথাও ঘোষণা করেন। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহও এই হামলার প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল।