ভারতে একটি মসজিদ এবং একটি ধর্মীয় বিদ্যালয় ভেঙে ফেলার প্রতিবাদের সময় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যের হালদওয়ানি শহরের পৌর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভবনগুলোকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর বলেছে যে এগুলো বিনা অনুমতিতে নির্মিত হয়েছে। খবর- আল জাজিরাপুলিশ বলেছে, মুসলমানরা বিক্ষোভে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে এবং তাদের দিকে পাথর ছুঁড়েছিল। পরে তারা গোলাবারুদ এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, হলদওয়ানির বনফুলপুর এলাকার মসজিদ এবং স্কুলটি প্রায় দুই দশকের পুরনো এবং অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেছেন, বিক্ষোভে পাঁচজন নিহত হয়েছেন, তবে তাদের পরিচয় জানাননি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন এবং তাদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভের পরে একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হলদওয়ানির কর্তৃপক্ষ গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে, কারফিউ জারি করেছে, ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে, স্কুল বন্ধ করেছে এবং বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
হলদওয়ানির বিধায়ক ও কংগ্রেস নেতা সুমিত হৃদয়েশ বলেছেন, সহিংসতাটি প্রশাসনের তাড়াহুড়োর কারণে ঘটেছে। তিনি বলেন, ধ্বংস করার আগে মুসলিম নেতাসহ এলাকার স্থানীয়দের জানানো উচিত ছিল।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, সরকার দাঙ্গাবাজ ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “পুলিশকে অশান্তদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক দাঙ্গাবাজ যারা অগ্নিসংযোগ এবং পাথর নিক্ষেপে লিপ্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিতকারী কোনো দুর্বৃত্তকে ছাড় দেওয়া হবে না।