জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আসামিপক্ষের করা পৃথক আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে চলতি বছরের ৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনকে আপিল করার জন্য নিজ খরচে মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দেন হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের শুনানির জন্য বিচারের কার্যক্রম, জবানবন্দি, প্রমাণ, রায় এবং অন্যান্য নথি সহ মামলার সমস্ত বিবরণ সম্বলিত পেপার বুক প্রয়োজন হয়।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা ও কারাদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করে এবং এই মামলায় তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা নিম্ন আদালতের রায়ের একটি অংশও স্থগিত করে।
ঢাকার একটি আদালত ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দুর্নীতি মামলায় খালেদাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (বর্তমানে মৃত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।