রাসেল মোল্লা, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানকে হেয় প্রতিপন্ন করে সংবাদ সম্মেলন করে ভুল স্বীকার করেছেন অর্থনৈতিক শুমারি কাজে নিযুক্ত আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা।
অর্থনৈতিক শুমারী কাজের ভাতা ও সাম্মানী বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা হলেও ওই টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করেন এই দম্পতি।
গত বছর ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশ ব্যাপি অর্থনৈতিক শুমারীর কাজের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত হয় গণনাকারী ও সুপারভাইজার।
প্রকল্পের অফিস থেকে বিকাশের মাধ্যমে কর্মরতদের ওই টাকা পরিশোধ করা হয়।
সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের ভাতা ও সম্মানী আত্মসাৎ করার সুযোগ না থাকা সত্বেও এমন অভিযোগে অভিযুক্ত পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান।
জানা যায়, অর্থনৈতিক শুমারী চলাকালে পাঁচটি জোনের আইটি সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের
তদারকী করেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরুজ্জামান।
এদের মধ্য ১ নং জোনের আইটি সুপারভাইজার মো. সাইফুল ইসলাম ও গণনাকারী তার স্ত্রী মোসা. ফাতেমা ফেরদৌসি শান্তাকে বিভিন্ন সময়ে কাজে গাফিলতি ও মনগড়া ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বাড়িতে ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ট্যাবে সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও কাগজে কলমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এক জায়গায় বসে সময় বাড়িয়ে সকল তথ্য এন্ট্রি দিতে তার স্ত্রীসহ অনান্য গননাকারীদের পরামর্শ দেয়। এতে ওই কর্মকর্তা সর্তক করলেও কোন মূল্যায়ন না করে নিজের মত করে চালিয়ে যায়।
এছাড়া সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্যান্য গণনাকারীদের সাথে খারাপ ও অনৈতিক আচরনের অভিযোগ আসে। পরবর্তীতে তাদের পুনরায় সংশোধনের জন্য বলা হলে এতে সাইফুল ও তার স্ত্রী শান্তা ভীষন ভাবে ক্ষুব্ধ হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া ওই প্রকল্পের আওতায় সাইফুল ও শান্তার আত্মীয়দের নিয়োগ পাওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে ব্যর্থ হলে ক্ষোভে পরিনত হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে সৃষ্টি হয় সংবাদ সম্মেলনের।
পরবর্তীতে তাদের করা সংবাদ সম্মেলনটি ভুল বুজাবুজি ও রাগ ক্ষোভের বশবর্তী স্বীকার করে লিখিত জবান বন্দিতে স্বাক্ষর ও ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় শুমারি কাজে নিযুক্ত সাইফুল শান্তা দম্পতি।