গত ৫ আগস্টের পর দীর্ঘ সময় জেলে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাদের অনেকেই অপরাধ, অপকর্মসহ আধিপত্য বিস্তার লড়াইয়ে জড়াচ্ছে বলে তথ্য পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে কারাগার থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিলের আবেদন করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক কার্যক্রম ও তাদের ওপরে পুলিশের কোনো নজরদারি রয়েছে কিনা এমন পরশনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিষয়ে ডিএমপি সতর্ক রয়েছে। তাদের প্রতি নজরদারি রাখা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় জেলে থাকার পরও তাদের মধ্যে কোনো সংশোধন নাই, এটি খুবই দুঃখজনক। জেল থেকে বের হয়ে সেই আগের মতো চাঁদাবাজি, দলাদলি শুরু করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরণের তথ্য পাচ্ছি। জেল থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নানা ধরণের অপকর্মে জড়াচ্ছেন। তাদের জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করবো।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অন্তত ছয়জন জামিনে মুক্তি পান। তাদের বেশির ভাগই এক থেকে দেড় যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন। এদের মধ্যে গত ১৫ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। পরদিন রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-৪ থেকে জামিনে মুক্তি পান শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। কারামুক্তির পর এই দুইজন আধিপত্য বিস্তারে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
তাছাড়াও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ‘কিলার আব্বাস’ হিসেবে পরিচিত মিরপুরের আব্বাস আলী, তেজগাঁয়ের শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসুও কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।