মর্টার শেলের আঘাতে সীমান্তে দুজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বলেছেন, এ ব্যাপারে বিজিবি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ আছে। রোহিঙ্গা বা কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী এখন পর্যন্ত সীমান্ত অতিক্রম করেনি।
সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও পুনরায় জানান বাহিনীটির এ কর্মকর্তা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে আহ্বানও জানিয়েছেন মোরশেদ আলম।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে হবে। আত্মরক্ষার্থে যেসব মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করেছে, তাদের ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। মর্টার শেলটি ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর এসে পড়েছিল।
নিহত নারী জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫৫)। নিহত রোহিঙ্গার নাম নবী হোসেন (৬৫)। তিনি বালুখালী আশ্রয়শিবিরের ৮-ই ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি হোসেনে আরার বাড়িতে ধানখেতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন।