ভারতের ইশারায় বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দিন : মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ভারতের ইশারায় বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তিনি বলেন, সিলেটের পাথরগুলো আল্লাহর দেওয়া বড় এক নেয়ামত। পাথর, বালু এগুলো কয়লা, তেল-গ্যাসের মত এদেশের খনিজ সম্পদ। আমাদের এই সম্পদ যথাযথ ব্যবহার হলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনা ২০১৮ সাল থেকে পরিবেশ দূষণের অযুহাতে কোয়ারি থেকে পাথর, বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এলসি পাথর আমদানি করে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে খুশি করে রেখেছিল। অথচ পাথর উত্তোলন পরিবেশে কোন প্রভাব ফেলে না। এটা সরকারের একধরনের ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। মূলতঃ এটি ভারতীয় আগ্রাসনের পথ সুগম করার কূটকৌশলের অংশ। যা দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোতে প্রতিদিনই নানা ধরনের বর্জ্য পড়ছে। এর ৬০ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের শিল্পবর্জ্য। নদী দূষণের ফলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। যা নিয়ে পতিত সরকার কার্যকরী কোন ভুমিকা রাখেনি। অথচ সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিবেশ দূষণের অযুহাতে ভিনদেশী ইশারায় বন্ধ করে রেখেছে পাথর কোয়ারি।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের প্রতিটি পাথর কোয়ারির সাথে জড়িয়ে আছে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়, যা স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতির মজুবত ভিত্তি। দীর্ঘদিন কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক। মানবেতর জীবনযাপন করছেন কোয়ারির সাথে জড়িত পাথর ও পরিবহন ব্যবসায়ী, বেলচা, বারকি, পরিবহন ও লোড-আনলোড শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে শত শত ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *