ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল পালিয়েছেন। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা পৌরশহরের রাধানগরে তার বাসভবনে সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। এসময় তিনি বাসা থেকে পাশের দিঘিতে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পালিয়ে যায়।
কাজল আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের খুবই আস্থাভাজন ছিলেন। পালানোর সময় তাকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা গেছে। দিঘিতে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল।
দিঘি থেকে তিরে উঠে বোরকা পরে সে তার সাঙ্গুপাঙ্গুদের সহায়তায় সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরায় পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেও তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, তার বাস ভবনে হামলার সময় তার বাসার ছাদ থেকে পাথর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণ করাসহ একাধিক গুলির শব্দও শুনতে পায় আন্দোলনকারী জনতা। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাসভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, মেয়র পালিয়ে যাওয়ার পর প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাউন্সিলর মিলি আক্তার।