ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের ফলে দীর্ঘায়িত হবে গাজা যুদ্ধ

তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর, স্বভাবতই উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি ইয়েমেন-লেবাননেও চলছে উত্তেজনা। এ অবস্থায় হানিয়া হত্যাকাণ্ডে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে তাই চলছে নানামুখি বিশ্লেষণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনার প্রভাব পড়বে নানামুখি। সবচেয়ে বড় বিষয়, হানিয়ার মৃত্যুর ফলে ইরান-ইসরায়েল বিবাদ আরও তীব্র হবে। এতে করে স্বভাবতই হুমকির মুখে পড়বে অস্ত্রবিরতি ইস্যুটি। যার ফলে দীর্ঘায়িত হবে গাজা যুদ্ধ।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক ড. সানাম ভাকিল বলেন, এটা স্পষ্ট যে হানিয়ার মৃত্যু গাজার যুদ্ধবিরতীকে অনিশ্চয়তায় ফেলবে। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে যেখানে শুধুই শঙ্কা আর ঝুঁকি রয়েছে। এতে করে খুব সহজেই আর কোনো অর্থবহ কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না। কারণ ইরানের পাল্টা জবাবের কারণে ইসরায়েলি নেতৃত্ব সেটা সামলানোতেই বেশি জোর দেবে। ফলে গাজা যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে।

এরইমধ্যে এই হামলার জবাব দেয়ার ঘোষণা এসেছে ইরান এবং ফিলিস্তিন সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। আক্রান্ত হলে চুপ করে বসে থাকবে না ইসরায়েলও। ফলে, সর্বাত্মক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক নমি বার ইয়াকোভ বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান যে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে আসছে তার মাত্রা আর বাড়বে। হুতি- হামাস-হিজবুল্লাহসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তাদের হামলার পরিধি বাড়াবে। তখন ইসরায়েলও পাল্টা জবাব দেবে। জড়িয়ে ইয়েমেন-লেবাননের বাইরেও অর্থাত সর্বাত্মকভাবে এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে। আর হানিয়া না থাকায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াও কঠিন হয়ে পড়বে হামাসের জন্য।

এ অবস্থায় কার্যকর সমাধানের জন্য আবারও আলোচনাকেই গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান বিশ্লেষকদের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *