মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিএনপির শীর্ষনেতারা। বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীরা এবিষয়ে জানতে চাইলে কোনো জবাবই দেননি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠক শেষে হোটেল থেকে যখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বের হন, তখন সেখানে অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা। কথা বলতে চাইলে ‘সরি আমি কোনো কথা বলবো না’- বলে গাড়িতে উঠে পড়েন মির্জা ফখরুল। গাড়িতে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করা হলেও একই জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমি কিছু বলবো না’।
এরপর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বের হলে সাংবাদিকরা কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে- তা জানতে চান। ‘কিছু বলার নেই’ এই জবাব দেন তিনি।
এরপর প্রশ্ন করা হয়, আগেরবার মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল, সেবার বিএনপির সাথে বৈঠক করেনি। এবার করেছে। এর বিশেষ কোনো তাৎপর্য আছে কি? এমন প্রশ্নেও হাসতে হাসতে জবাব দেন, ‘কিছু বলার নেই’। পরে বলেন, ওরা আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, আমরা এসেছি। কথাবার্তা বলেছি। এরপর আবার তার একই কথা, ‘কিছু বলার নেই’।
নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবও দেননি খসরু। বলেন, আমরা কিছু বলতে চাই না। তারা আমন্ত্রণ করেছে আমরা এসেছি। তাদের সাথে কথাবার্তা হয়েছে, দ্যাটস অল।
বিএনপি মার্কিন প্রতিনিধি দলকে কী বলেছে- এমন প্রশ্নে ‘কিছু বলার নেই’ বলে এড়িয়ে যান তিনি।
পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ‘এই উত্তর’ কতক্ষণ দেবেন। জবাবে হাসতে হাসতে বলেন, তোমরা যতক্ষণ প্রশ্ন করবে ততক্ষণ একই উত্তর দেবো ‘কিছু বলার নেই’। এরপর তিনি বলেন, ‘আমার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। গাড়ি আসা পর্যন্ত যতবার প্রশ্ন করবা, একটাই উত্তর, কিছু বলার নেই’।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের সাথে (সাংবাদিক) তো আমার সবসময় কথা হয়ই। এত অস্থির হওয়ার কিছু নেই। সময়মতো সব বলা হবে। আজকেই সব বলতে হবে, এমন কোনো কথা তো নেই। বলার মতো এটুকুই।
পরে আমীর খসরু, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়ে জেলে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখনও বলেন, ‘কিছু বলার নেই’। এরপর বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল। নানা বিষয়ে আলাপ আলোচনা হতেই পারে। সবকিছু বলতে হবে এমন তো না। এক পর্যায়ে তার গাড়ি চলে এলে তিনি তাতে উঠে পড়েন।
এর আগে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির সাথে বৈঠক হয় ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের। সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা আলাকামিনস উপস্থিত ছিলেন। আর বিএনপির পক্ষে ছিলেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।