নিষিদ্ধ করা হলো জামায়াতের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এটি জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ওই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ এর ১ ধারা অনুযায়ী জামায়াত, শিবির ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কয়েকটি মামলার রায়ে জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এক রায়ে জামায়াতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। সেই রায় আপিল বিভাগও বহাল রেখেছেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, সাম্প্রতিক সহিংসতা, হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জামায়াত-শিবির সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল। তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী এবং শিবিরসহ তাদের অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করলো। আইনের তফসিল-২ এ জামায়াত-শিবিরসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকে তালিকাভুক্ত করলো নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে।