সংবিধান নতুন করে লেখা হবে নাকি সংশোধন হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সরকারের দায়িত্ব নেয়ার মাত্র তিন সপ্তাহ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের রুপরেখা, নির্বাচন, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া কি হবে তা জানতে চেয়েছে। দ্রুতই আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরবেন ড. ইউনূস।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের প্রস্তাবনা ভিত্তিতেই রূপরেখা দেয়া হবে। এর ভিত্তিতে সরকারের মেয়াদ ঠিক হবে। একটি গ্রহণযোগ্য রূপরেখা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিয় হয়েছে। বৈঠকে দলগুলো তাদের প্রস্তাবনা ও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। সংবিধান ইস্যুতেও মতামত দেয় দলগুলো।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে জাতীয় পার্টি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না — এমন প্রস্তাব দেয়। তাছাড়া, গণতান্ত্রিক সরকার যেসব সংস্কার করতে পারে না সেইসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেয়ার পরামর্শ দেয় দলটি।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবিধান সংশোধন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা, ক্ষমতার ভারসাম্যসহ ২১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে গণফোরাম। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ ৮৩টি প্রস্তাব দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)।
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বারো দফা সুপারিশ করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের নেতারা বলেন, এই দুর্যোগময় মুহূর্তে সাহসিকতার সাথে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিরাজমান সংকট সমাধানে সময় লাগবে। সরকারকে এই সময় দিতে দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুত আছে। এ সময় একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানান নেতারা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণ, ৫ মে থেকে সংগঠিত সকল মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
অপরদিকে, দুর্নীতিবাজরা যাতে নির্বাচন করতে না পারে এবং তাদের ছাড় না দেয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ জাসদ।