রাসেল মোল্লা: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভূমি জালিয়াতি ও অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার বেলা১১টায় বানাতিবাজারের বাসীন্দা হেমায়েত উদ্দিন হিরন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান,১৯৮০ সালে দেড় একর জমি
বন্দোবস্ত পেয়ে গোলাম মোস্তফা ১৯৮৬ সালেই ৯৯ শতক জমি বিক্রি করে দেন।
পরবর্তীতে তথ্য গোপন করে ২০০৪ সালে আবার দেড় একর জমি বিক্রি করেন। দেড়
একর জমির মালিক হয়ে বিক্রি করেন দুই একর ৪৯ শতক। লালুয়ার বানাতিপাড়া
গ্রামের গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এমন তথ্য ভূমি অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় গোলাম মোস্তফা তার ভাই এরফান তালুকদার ঠিকানা পরিবর্তন করে পুনরায় ২০১৬ সালে আবারও দেড় একর খাস জমি বন্দোবস্ত নেন।যার অধিকাংশ খাল শ্রেণির। এ জমি আবার পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করলে জমির ক্ষতিপুরণ ও অবকাঠামোর মূল্য বাবদ বিভিন্ন নামে ৬৩ লাখ ২২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।এভাবে জালিয়াতি কর্মকান্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি প্রতিকার চেয়ে তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, গোলাম মোস্তফা ও এরফান আলী দুই ভাই এমনসব অপকর্ম করে আসছে। যাতে সরকারের কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি পুনর্বাসন পল্লীর ঘরও বরাদ্দ নিয়েছে।
তিনি কলাপাড়ার সহকারী কমিশনার
(ভূমি) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে লালুয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী
কর্মকর্তা লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে জালিয়াতি ও ভূমি দস্যুতার এমনসব তথ্য উঠে এসেছে। হিরন এমনসব ঘটনাকে জালিয়াতি ও সরকারি টাকা আত্মসাতের দাবি করে আইনি প্রতিকার চেয়েছেন।