পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেছেন ছয় সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, গামরবুনিয়া, পূর্ব চাকামাইয়া, পশ্চিম চাকামাইয়া ও পাশ্ববর্তী আমতলী উপজেলার নীলগঞ্জ গ্রামের জমি পরিদর্শন করেন তারা।
এসময় যুগ্ন সচিব ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওবায়দুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, একটি আন্তজার্তিক বিমান বন্দরের নির্মানের জন্য কমপক্ষে তিন হাজার একর জায়গা প্রয়োজন। তাই কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিয়া এবং আমতলী উপজেলার তারিকাটা ও উত্তর টিয়াখালী মৌজা থেকে তিন হাজার একর জমি নেওয়া সম্ভব। এই জমিতে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং দুই কিলোমিটার প্রস্থের রানওয়ে নির্মাণ করা সম্ভব।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যেসব এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এখানে সরকারের প্রচুর খাস জমি রয়েছে। এর বাইরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা থেকেও হয়ত কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া এলাকাটিও বিমানবন্দরের রানওয়ে করার জন্য অত্যন্ত সুন্দর। অপরদিকে জায়গাটি আমতলী ও কলাপাড়া উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে পড়েছে। এসব কারণে পরিদর্শনে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের বিমান বন্দর করার জন্য জায়গাটি সবদিক থেকে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম বলেন, দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে এখন আমরা সম্ভাব্য জায়গাটি সরেজমিনে দেখতে আসলাম। এখানে পায়রা বন্দর, পাওয়ার প্লান্ট ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রয়েছে। তাই প্রাথমিক ভাবে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তবে এখানে বিমান বন্দর নির্মাণ হবে কিনা সেটা সরকার নির্ধারণ করবে।