অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা প্রশাসন দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ জারি করেছে জানাল সংবাদ সংস্থা এপি। শুক্রবার থেকে উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামিয়েছে ঢাকা। এদিন বাংলাদেশ ফৌজকে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় টহল দিতে দেখা গিয়েছে
সংবাদ সংস্থা এপির দাবি, এদিন শ্যুট অ্যাট সাইটের অর্ডার জারি করে বাংলাদেশ পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দেশজুড়ে জারি রয়েছে কার্ফু। কিন্তু তার পরও আন্দোলনকারীদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এদিন রাজধানী ঢাকা-সহ উপদ্রুত এলাকাগুলিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে দিনভর টহল দিতে দেখা গিয়েছে।
এপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকায় শীথিল করা হয় কার্ফু। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত যা জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, ২১ জুলাই পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই ইস্যুতে আরেক আন্তর্জাতকি সংবাদমাধ্যম এএফপি-র কাছে মুখ খুলেছেন ঢাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা জনপ্রতিনিধি ওবায়দুল কাদের। তাঁর দাবি, ৬৪টির মধ্যে ৪৭টি জেলা থেকেই হিংসার খবর এসেছে। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫ জন। এছাড়া আহতের সংখ্যা ১,৫০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এএফপি জানিয়েছে, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় বিদেশ সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর প্রেস সচিব নাঈমূল ইসলাম খান জানিয়েছেন, নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে সেনা নামাতে হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (১৫ জুলাই) থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় তুমুল ছাত্র আন্দোলেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকা-সহ বহু জায়গায় দিনভরই চলেছে চরম বিশৃঙ্খলা। যারা জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।