আসন্ন রমজান মাসে ব্যবসায়িদের প্রফিট মার্জিনটা (লাভের পরিমাণ) কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আপনারা যদি অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করেন এবং আমাদের দেশে দেখেন, যেমন খ্রিস্টানরা তারা তাদের ক্রিসমাসের সময় জিনিস পত্রের দাম কমিয়ে দেয়। অন্যান্য ধর্মের মানুষও দাম কমিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের ব্যবসায়িরা ভাবে যে এটাই বুঝি তাদের আয়ের মাস।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ি ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল’ পরিদর্শন শেষে তিনি এই আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সরকার মনে প্রাণে চায় যেন নিত্যপণের দাম কোন অবস্থাতেই না বাড়ে। এটা আপনাদেরকেই বলতে হবে, যে তোমরা এই সময়ে লাভের পরিমাণ কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াও। এটা কিন্তু একটা বড় ধরনের সওয়াব হবে।
রমজানের সময় সবজির একটু ট্রানজিট পিরিয়ড হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সিজিনাল সবজি যে শেষ হয়ে যাবে, খামারের সবজি আসবে। এই ট্রানজিট পিরিয়ডটার দিকেও একটু খেয়াল রাখতে হবে। এই শীতকালীন সবজিটা প্রিজার্ভ করার জন্য নতুন একটা কোল্ড স্টোরেজ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কন্টিনারে যেন ৬ মাস ৮ মাস ফুলকপি- বাঁধাকপি-শালগম-গাজর রেখে দিতে পারে সেটা নিয়ে আমাদের একটা চিন্তাভাবনা আছে। কাজ শুরু হয়ে গেছে কিছুদিনের ভেতর আমরা রাখার ব্যবস্থা করব। ইভেন আমরা ফলও রেখে দিতে পারব।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদবির বাণিজ্য বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে আসার পর আপনারা একটা উদাহরণ দেন যে এটা করা হয়েছে। পদোন্নতি প্রপার জায়গা না দিয়ে যোগ্যছাড়া দেয়া হয়েছে। এমন একটা এক্সাম্পল আপনারা দেখিয়ে দেন। আমি যদি দুর্নীতি করি আপনারা লিখে দেন। আপনারা সত্যি কথা লিখবেন এটাই আমরা চাই। তবে হ্যাঁ চাঁদাবাজির কারণে অনেক সময় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। আমরা কিন্তু যাতে চাঁদাবাজির মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে সেজন্য চেষ্টা করছি।