স্টাফ রিপোর্টারঃ আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ক্ষমতাসীনদের কফিনে শেষ পেরেক পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, ভোটকে সামনে রেখে নানা দিক-নির্দেশনা দেন বিএনপি হাইকমান্ড। ভোট বর্জনে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করার ওপর বেশি জোর দেন। বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ভোট না দিতে নিরুৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় ছাত্রদলের নেতারাও চলমান আন্দোলনের শেষ পরিণতি না দেখে রাজপথ ছেড়ে যাবে না বলে অঙ্গীকার করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ছাত্রদের কোন পিছুটান নেই। তারা সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যায়। আমার এ বিশ্বাস ও আস্থা আছে, আজকের যে ছাত্রদল তারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলন ছাত্রদলকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। সংগ্রামে জয়ী হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। একদলীয় ডামি নির্বাচন করতে পারলে দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হবে। তাই এখন রাজপথে নামার শ্রেষ্ঠ সময়। এখন আমরা যদি না জাগি কখনও সকাল হবে না। সবার বাস্তবতা উপলব্দি করতে হবে। গনতান্ত্রিক উপায়েই এমন আন্দোলন করব, যাতে করে ৭ তারিখ ভোটে জনগণ না আসে। বিজয় সুনিশ্চত।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ৭ জানুয়ারি তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন হবে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, এখন একটু শক্ত হতে হবে। আন্দোলনে শক্তির পাশাপাশি বুদ্ধিও খাটাতে হবে।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিষ্ট সরকার হত্যা-গুম-অত্যাচার করে দেশকে নরকে পরিনত করেছে। এই সরকারের পতন না ঘটাতে পারলে সবাই কারাগারে যাব। দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে বিএনপির দিকে। ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে। আন্দোলনে ছাত্রদল হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। অতীতের ন্যায় এখনও সরকার পতন আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে ছাত্রদলকেই।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- ছাত্রদলের সাবেক নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রকিবুল ইসলাম বকুল, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, হাবীবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ। ভার্চুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও সারাদেশের জেলা-উপজেলাসহ তৃনমূলের নেতারা অংশ নেন।