ইসলামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ লুৎফুর রহমান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়ার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার আগে তাদের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বেশি। পশ্চিমাদের ইন্দনে বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাদের ইন্দনে ফিলিস্তিন, ইরান, লেবাননসহ বিশ্বের বিভিন্ন্ন দেশে ইসরাইল আমেরিকার মদদে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তবর্তী সরকার সংষ্কারের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবে। কোন স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া তাদের কাজ নয়।
১০ বছর চেষ্টা চালিয়ে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকারের কান্ট্রি অফিস খুলতে তারা ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩৬ জুলাই-এর অভ্যুত্থানের পর নানা দেশি-বিদেশী চক্রান্ত সক্রিয়। বাংলাদেশে জাতিগত কোন সংঘাত হয়নি যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলতে হবে। তাছাড়া ঐ অফিসের বিরুদ্ধে দেশে দেশে সমকামীতার প্রমোট করার অভিযোগ রয়েছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সমকামীতার প্রমোট করার মত জঘন্য ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলে সমকামীদের প্রমোট করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ রুখে দিবে। কোন উপদেষ্টা সমকামীতাকে উস্কে দিতে চাইলে ছাত্র-জনতা রুখে দিবে। যে কোন ইসলামবিদ্বেষী কর্মকান্ড ছাত্র জনতা বরদাশত করবে না।