রাসেল মোল্লা, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ ছোট্ট শিশু জামিলা। চোখে অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাচ্ছে ঘরে বসে। দিনের আলো আর রাতে বৈদ্যুতিক আলো দুটোই তার কাছে এখন যন্ত্রনাময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ অন্যান্য সকল শিশুদের মতোই মাত্র ছয় বছর আগে এ পৃথিবীতে আগমন করে সে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর আলো তার কাছে এখন বিষাদময় হয়ে পরেছে। তার বাম চোখে দূরারোগ্য ক্যান্সার ধরা পরেছে। অপারেশনের মাধ্যমে চোখটি উপড়ে ফেললে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে জামিলা। তবে, অর্থাভাবে চিকিৎসা চালাতে পারছে না পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের হাসনাপাড়া গ্রামের মাঝের পুল আবাসনের বাসিন্দা অসুস্থ জামিলার হতদিরদ্র পিতা সোহেল হাওলাদার। মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করছেন তিনি।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে জামিলার বাম চোখে প্রথমে সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে চুলকানি ও লাল হয়ে চোখের উপরে সাদা একটি আবরন পরে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে দুইবার ছানি অপারেশন করলেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ ডাক্তার জানায় তার চোখে টিউমার হয়ে তা ক্যান্সারে পরিনত হয়েছে। তবে ক্যান্সারটি এখন পর্যন্ত চোখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। চোখটি তুলে না ফেললে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে চোখের টিউমারটি বড় হয়ে বাহিরে বেড়িয়ে এসেছে। চোখ থেকে অনবরত ঝরছে পানি, সহ্য করতে পারছে না কোন আলো।
এদিকে, অপারেশন করার আগে আট’টি ক্যামো থেরাপী দেয়ার কথা বলেছে ডাক্তার। প্রতিটি ক্যামো থেরাপীতে খরচ প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তার চিকিৎসায় সব মিলিয়ে এখনও প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যা তার দিনমজুর বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। শুরু থেকে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে সর্বস্ব হারিয়ে নিরুপায় হয়ে পরেছে তার পরিবার। এখন মানুষের সহযোগিতাই একমাত্র ভরসা। মেযের চিকিৎসায় সর্বোস্ব হারানো পিতা সোহেল ও তার স্বজনরা বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে। সকলের দোয়া ও সহযোগীতায় বাঁচতে পারে অসুস্থ শিশু জামিলার জীবন। জামিলাকে সাহায্যের জন্য যোগাযোগের ঠিকানা- ০১৭৩২-৩৪৩১৬৬ (বিকাশ/নগদ)। এছাড়া তার নানা মো. বাহাদুর হাওলাদারের সিটি ব্যাংকের নম্বর ২২০৩৬১২০২৮০০১ এ্যাকাউন্টে সাহায্য পাঠানো জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে তিনি দেখে এসেছেন। তার চোখে ক্যান্সার ধরা পরেছে। সরকারীভাবে প্রধান উপদেষ্টার তহবিল ও উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত তহবিল থেকে শিশুটির চিকিৎসার জন্য সহায়তা করার হবে বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া শিশুটির জীবন বাঁচাতে সমাজের সকলকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি আহ্বান করেন।