কয়েক বছর ধরেই চর্চায় শাহরুখ খান। ২০২৩ সালের আগ পর্যন্ত এই বলিউড তারকার ব্যর্থতা নিয়ে চর্চা চলত। গত বছর টানা তিনটি (পাঠান, জওয়ান, ডানকি) হিট সিনেমা দেওয়ার পর এখন তার সাফল্য নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে আগে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি অভিনেতা।
বলিউড কিং শাহরুখ খানের জীবনযাপন যেন অনেকটা ব্যাচেলরদের মতোই। অন্যরা যখন ঘুম থেকে ওঠেন, সেসময় ঘুমাতে যান তিনি। সবার ঘুমানোর সময় রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে হলেও এসআরকে ঘুমাতে যান ভোর ৫টায়। এখানেই শেষ নয়, তিনি খাবার খান মাত্র একবেলা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে নিজের লাইফস্টাইল সম্পর্কে শাহরুখ জানান, তিনি দুপুর দুইটায় বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়ি ফিরলেও নানা ব্যস্ততা থাকে। সব কাজ শেষ হতে হতে তার ঘুমানোর সময় হয় ভোর ৫ টায়, আবার উঠে পড়েন সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে। অর্থাৎ, দিনে চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুমাননা তিনি।
শাহরুখের ভাষায়, ৫৫ বছর বয়সে আমি একবার বিশ্রাম নিয়েছিলাম। আর সেটা মহামারীর সময়, কারণ আমার আর কিছু করার ছিল না। এ সময় আমি সবাইকে বলছিলাম, ইতালিয়ান রান্না শিখুন আর শরীর চর্চা করুন।
তিনি আরও বলেন, আমি সাধরণত ভোর পাঁচটায় ঘুমাতে যাই। মার্ক ওয়াহলবার্গ (মার্কিন অভিনেতা যিনি খুব ভোরে ওঠেন) উঠলে, আমি ঘুমাতে যাই। তারপর আমি প্রায় ৯-১০টা পর্যন্ত ঘুমাই। এরপর আমি শ্যুটিংয়ে যাই। এরপর দুপুরে বাড়ি ফিরি। তারপর গোসল সেরে ব্যায়াম করি। এছাড়া মাত্র মাত্র এক বেলা খাবার খাওয়া ও আধঘণ্টা ওয়ার্কআউটের কথা জানান কিং খান।
উল্লেখ্য, লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ‘পার্দো আল্লা ক্যারিয়ারা’ বা ‘ক্যারিয়ার লেপার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন শাহরুখ খান। শাহরুখের পরবর্তী সিনেমা ‘কিং’। সঙ্গে থাকবেন অভিনেতার মেয়ে সুহানা খানও। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সুজয় ঘোষ এবং প্রযোজনা করছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ।