বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা সব ধরনের ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে। আজ রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কথা বলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফকালে তারা বলেন, আমরা সাফ জানাতে চাই– বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে পাঁচজন সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফ করেন। তারা জানান, স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, গত পাঁচ বছরে রাজনীতিহীন ক্যাম্পাসে অনেক সাফল্য রয়েছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকায় গবেষণামূলক কাজ বাড়ছে বলে দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হিজবুত তাহরীর ও অন্যান্য আরও যেসব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে, আমরা সেগুলোরও বিরুদ্ধে। বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী হিযযুত তাহরীর বা ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে জড়িত থাকলে আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাই।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেব না।
এর আগে, আজ ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলে সিট ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করে ছাত্রলীগ।
এদিকে, একই দিন দুপুরে বুয়েট উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদে গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) থেকে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। তারা পরীক্ষা বর্জন করে পাঁচ দফা দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান।