ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় বিধান হিজাব পরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর মহিলাদের নামাজ পড়া নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছিল। এবার ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা করে, কুরআনের ক্লাসের কারণে শোকজ করে এবং ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারী রোজাদার ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলা ও রক্তাক্তকরণ আমাদেরকে ভিন্ন ম্যাসেজ দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৮ম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ইসলাম ও মুসলামনদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশও সে ষড়যন্ত্র থেকে খালি নেই। সরকারের ভিতর ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে। নাস্তিক-বেঈমানরা কেন বার বার ইসলাম ও মুসলমানদেরকে তাদের লক্ষ্যস্থলে পরিণত করছে?
তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিতদের এই এলার্জি সরকারের করুণ পরিণত বয়ে আনবে। তিনি বলেন, রমজান, ইফতার, কোরআন, হিজাব মুসলমানদের কাছে প্রিয় বস্তু। এ নিয়ে চক্রান্ত করলে তাদের আখের ভাল হয় না। কতিপয় ইসলামবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসলাম ও মহানবী সা. এর ওপর কোন আঘাত সহ্য করা হবে না’ তাহলে ইসলাম, হিজাব, নামাজ ইত্যাদি নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে।
আলোচনায় চরমোনাই পীর ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম , মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন।