বাংলাদেশি নাবিকদের জিম্মি করা সোমালিয়ার জলদস্যুদের সাথে এখনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। জাহাজটি দেশটির উপকূলে দস্যু অধ্যুষিত এলাকায় নোঙর করা হয়েছে। জাহাজের ভেতরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি রাখা হয়েছে ২৩ নাবিককে।
জলদস্যুরা নাবিকদের ওপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তবে অস্ত্রের মুখে তাদের কথা মানতে বাধ্য করছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় এমনটিই জানিয়েছেন জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান। এখন পর্যন্ত সোমালিয়ান জলদস্যুদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণের বিষয়েও যোগাযোগ করা হয়নি।
এদিকে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ২৩ নাবিককে উদ্ধার করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ তাদের পিছু নেয়। কয়েক দফায় জলদস্যু ও নৌবাহিনীর (নেভি) সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিককে একে একে হত্যার হুমকিও দেয় জলদস্যুরা। এরপর কোনো উপায় না থাকায় পিছু হটে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরেই জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই কোম্পানির ‘এমভি জাহান মনি’ নামের একটি জাহাজ। সেসময় ২৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ১০০ দিনের প্রচেষ্টার পর তাদের মুক্ত করতে সফল হয় চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত ২৩ নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ।