ফিলিস্তিনে মোহাম্মদ শাতায়েহ সরকারের পদত্যাগের পর আলোচনার তুঙ্গে, কে হচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী? সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ মুস্তাফার নাম। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তে প্রশাসনে কেনো এত বড় পরিবর্তন? তা নিয়েও চলছে জল্পনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ পরবর্তী গাজার শাসনভার নিয়ে পরিকল্পনাই, এই রদবদলের উদ্দেশ্য।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে দুর্বিষহ দিন পার করছে গাজাবাসী। এরই মধ্যে উপত্যকায় যুদ্ধ পরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে নানা ধরণের ইঙ্গিত দিয়েছে তেলআবিব। সরব আছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও।
ঠিক এমনই সময় এলো ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ ও তার সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা। কোণঠাসা হয়ে নাকি নতুন কোনো পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সরে দাঁড়ানো, তা স্পষ্ট নয়। তবে সম্ভাব্য নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় মোহাম্মদ মুস্তাফার নাম।
৬৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুস্তাফার জন্ম পশ্চিম তীরের তুলকারেমে। মার্কিন ডিগ্রিধারী এই অর্থনীতিবিদ এর আগে পালন করেছেন ফিলিস্তিনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তার নেতৃত্বকে খারাপ চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্ব। ধারণা, পশ্চিমের পছন্দ ফাতাহ’র অনুগত, আবার দলীয় কোনো রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকায় নিরপেক্ষ তিনি।
তবে হঠাৎ কেন এই পরিবর্তন? কোনো কোনো বিশ্লেষকের দাবি, এবার একটু ভিন্ন কৌশলে নেমেছে মাহমুদ আব্বাস প্রশাসন। দিয়েছে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের আভাস। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, পশ্চিমাদের নজর কাড়তেই এমন পদক্ষেপ। গাজার শাসনক্ষমতা পরিচালনায় নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণের লক্ষ্যে, ঢেলে সাজানো হচ্ছে সরকার।
বর্তমানে ফিলিস্তিনের বিনিয়োগ তহবিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলোচিত মোহাম্মদ মুস্তাফা। বিশ্বব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। তাই ধারণা করা যায়, মোহাম্মদ মুস্তাফাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মিলবে গ্রহণযোগ্যতা।