চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে তিন শতাধিক কলাগাছ কেটে সাবার করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় অঞ্জন কান্তি রুদ্র (৩৮) এর বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাঁশখালী পৌরসভাস্থ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জলদী এলাকায় গত বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। এদিন কলাগাছ কেটেই কান্ত হয়নি সে ও তার দলবল। বসতঘরে ডুকে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে অভিযুক্ত কৃষকের প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষক মো. হারুন।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত অঞ্জন কান্তি রুদ্র বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য। সে পুলিশের ভয় দেখিয়ে বারবার আমাদের হয়রানী করে আসছে।
জানা গেছে, বাদীর মৌরশী সম্পত্তির এককানি পরিমাণ জায়গায় কলাবাগান করেছে। ধারকর্য নিয়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে সে বাগানে কলাগাছ রোপন করে টানা এক বছর পরিচর্যা করেন। পুলিশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্ঠায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাগানের সবকটি কলাগাছ কেটে পেলে। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার এসআই মংতুই হ্লা অবগত আছেন বলে জানা যায়। শুধু কলাগাছই নয়, হারুনের বসতঘরে ডুকে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এবিষয়ে বাঁশখালী থানার এসআই মংতুই হ্লা বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে বাদীপক্ষের লোক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অঞ্জন কান্তি রুদ্রের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তুলেননি।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘কলাবাগানের গাছ কেটে ফেলার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’