নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে শেষ হলো সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। প্রথমে টসে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় ম্যাচ কমিশনার। যা নিয়ে আপত্তি জানায় ভারত। এরপর জানা যায়, পুনরায় টাইব্রেকার মাঠে গড়াবে। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত দু’দলকেই যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।
রাত সোয়া ১০টার দিকে জানা যায়, পুনরায় টাইব্রেকার মাঠে গড়াবে। যেখানে খেলতে রাজি হয়নি ভারত। পরে উভয় দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। গোলে শোধে মরিয়া সাগরিকা-স্বপ্নারা বারবার আক্রমণে উঠলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর নেমে আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে কিছুতেই নিশানাভেদ করতে পারছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লিড ধরে রাখে ভারত। তবে শেষ বাঁশি বাজার আগে অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় সাগরিকা। পেনাল্টির তৃতীয় মিনিটে অর্থাৎ এক্সট্রা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
এরপর ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। যেখানে দু’দলকেই ১১টি করে শট নিতে হয়েছে। তবে কোনো দলের গোলকিপার একটি বলও আটকাতে পারেননি। দুই দল মিলে ২২টি পেনাল্টি নিয়ে সবকটিতেই বল জালে জড়িয়েছেন।
এরপরই দেখা যায় ‘অদ্ভূত’ নিয়ম। করা হয় টস। ভারত অধিনায়ক টসে জেতায় তাদেরকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এই প্রক্রিয়া মেনে নেয়নি বাংলাদেশ। কোচিং স্টাফদের পাশাপাশি খেলোয়াড়রাও তীব্র অসন্তোষ জানান। মাঠেই বাংলাদেশ কোচকে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সামনে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। পরে টসে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন ম্যাচ কমিশনার। তবে ফল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আবার প্রত্যাখ্যান করে ভারত। শেষ পর্যন্ত অমিমাংসিত রেখেই দু’দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলো।