বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশেপাশে যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের (অ্যার্ডিন্যান্স নম্বর-III/৭৬) ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশেপাশের এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের প্রায় সবারই মাথায় আঘাত রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম নিজেদের ফেসবুক পোস্টে তাদের আটকে রাখার বিষয়ে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টার দিকে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে।
দুই সমন্বয়কের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের আন্দোলনের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।