রোজার মাসকে সামনে রেখে কৌশলে বাড়ছে পণ্যমূল্য। রোজার আগমুহূর্তে দাম বৃদ্ধি করলে সমালোচনা হয়, তাই কিছুটা আগেভাগেই শুরু হয়েছে বাড়ানোর প্রবণতা। এরইমধ্যে বেড়েছে রোজায় প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম।
এমনিতেই সব ধরনের পণ্যমূল্য অসহনীয় পর্যায়ে, তার ওপর নতুন করে বৃদ্ধিতে ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’য়ের মতো অবস্থা ক্রেতাদের। বিশেষ করে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ২০ টাকা। খুচরা বাজারে ছোলার কেজি এখন ১০০ টাকার বেশি।
এছাড়া, খোলা পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। বাড়তির দিকে সয়াবিন তেলের দামও।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাড়তির দিকে চাল, আটা, মুগডাল, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, দারুচিনি, এলাচ ও ডিমসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম। তেমন কাজে আসছে না বাজার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ।
কনজ্যুমারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক বলেন, বাজারে একে অপরকে দোষারোপ করে, কারও কাছে আহ্বান জানিয়ে কিংবা কারও ওপর চাপ তৈরি করে এবং বাজার মনিটরিংয়ের নামে ভোক্তা অধিকারের দৌড়াদৌড়ি করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এখানে মাত্র কয়েকজন আমদানিকারক, যা আরও বাড়ানো দরকার। তা বাড়াতে হলে সরকারকে প্রণোদনা দিতে হবে।
বলা হচ্ছে, রোজার আগে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে এমদাদ হোসেন মালেক বলেন, পণ্যের দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালে রাখা প্রয়োজন। এই দাবির কোনো বিকল্প নেই। গত দুই বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। একটু কমে, আবার বাড়ে। দাম কমানোটা সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।
এদিকে, পণ্যের আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সিন্ডিকেট ভাঙতে দেয়া হচ্ছে হুঁশিয়ারি।