নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারে থাকছেন ১৭ জন সদস্য। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’জনসমন্বয়কসহ বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন ১৪ জন। শুক্রবারই মুহাম্মদ ইউনূস তাঁদের দপ্তর বন্টন করেছেন। তিনি তাঁর নিজের হাতে রেখেছেন ২৭টি মন্ত্রক। বাকি বিভাগগুলির বিভিন্ন উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্যদের মধ্যে দপ্তর বণ্টনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জানানো হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর হাতে রেখেছেন ২৭টি দপ্তর। তিনি নিজের হাতে রেখেছেন প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, রেল, সড়ক পরিবহন ও সেতু, জনপ্রশাসন এবং বাণিজ্য মন্ত্রক। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ, সশস্ত্র বাহিনী, খাদ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি, বস্ত্র ও পাট, কৃষিমন্ত্রক তিনি নিজের হাতে রেখেছেন।
ইউনূসের হাতেই থাকছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নৌ-পরিবহন, জল সম্পদ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রক। সেইসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকও থাকছে তাঁর হাতে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া হয়েছে অর্থ এবং পরিকল্পনামন্ত্রক। আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। আদিলুর রহমান খান পেয়েছেন শিল্পমন্ত্রক। হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রকের এবং তৌহিদ হোসেন বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক। মিজু শারমীন এস মুরশিদ পেয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রক।
ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন ধর্ম বিষয়ক এবং ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। নুরজাহান বেগম পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।