দোয়া! প্রত্যেকটি মুমিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। দোয়া করে কেউ হয়েছেন ভিখারি থেকে বাদশা, আবার কেউবা হয়েছেন বাদশা থেকে ভিখারি। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম এটি।
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহ তা’য়লার কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চায়, তিনি (আল্লাহ) তাদের ওপর খুশি হন। আর যারা চায় না, তিনি তাদের ওপর রাগান্বিত হন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া অন্য কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না এবং নেক আমল ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। (তিরমিজি, ২১৩৯, তারগীব, ১৬৩৯)
এ মাসে মুমিনকে যেসব বিষয়ের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তম্মধ্যে অন্যতম একটি হলো দোয়া কবুল। মহানবী সা. বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশা, রোজা পালনকারী যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৯৮)
দোয়া প্রসঙ্গে নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, আমাকে কে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; আমাকে কে কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব; আমার কাছে কে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)
এ জন্য পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি মুমিন বেশি বেশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারে। বিশেষ করে ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করলে নিশ্চয়ই দয়াময় আল্লাহ তা’য়লা কোন বান্দাকে খালি হাতে ফেরাবেন না। কারণ, নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।