গাইবান্ধার সদর উপজেলায় মা ময়না বেগমের মৃত্যুর খবর শুনে গাজীপুরের আশুলিয়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নুপুর আক্তার ও তার চাচাত বোন রুনা আক্তার নিহত হয়েছেন। নুপুর আক্তার তার বোন রুনাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী রাকিবুল ইসলামের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত রাকিবুল ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহত নুপুর আক্তার (২৮) সদর উপজেলার দক্ষিণ গিদারি মধ্যপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ও রুনা আক্তার একই গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। নুপুর আক্তার ও রুনা আক্তার সম্পর্কে চাচাতো বোন। আহত মোটরসাইকেল চালক রাকিবুল ইসলাম নুপুর আক্তারের স্বামী। তারা তিনজনই গাজীপুরের আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা ও দুই বোনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এর আগে, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার একটি পাম্পের সামনে ট্রাক চাপায় তাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, বগুড়ার দিকে আসা মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নুপুর আক্তার ও রুনা আক্তারের মৃত্যু হয়। এসময় আহত মোটরসাইকেল চালক রাকিবুল ইসলামকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পরপরই ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় চালক ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে নুপুর আক্তারের মা ময়না বেগম (৫৫) অসুস্থ ছিলেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে রোববার ভোরে গাজীপুরের আশুলিয়া থেকে নুপুর তার চাচাতো বোন রুনাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী রাকিবুলের মোটরসাইকেলে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্ত পথেই ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই দুই বোনের মৃত্যু হয়।