কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম নিহত হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনায় আরও ৭ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার চালিভাঙ্গা বাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুল ইসলাম চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। তিনি চালিভাঙ্গা ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। আহতদের মধ্যে দাইয়ান নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানাতর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদের সদস্য (মেঘনা) মো. কাইয়ুম হোসেনের গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায়ই এই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাইয়ুম গ্রুপের হামলায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম সরকার নিহতের অভিযোগ উঠে। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। সম্প্রতি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত কাইয়ুমসহ অন্য আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরতে চাইলে গতকাল রোববার হুমায়ুন গ্রুপের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে সোমবার মামলার আসামিরা আবারও বাড়িতে ফিরতে চাইলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কামরুল ইসলামসহ ৭ জন আহত হয়। পরে আহতদের মধ্যে কামরুল ও দাইয়ানকে ঢাকায় নেয়ার পথে কামরুল মারা যায়।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।