খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা এক তরুণীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে ওই তরুণীকে ছাড়পত্র দেয়ার পর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
ঘটনার সময় ওই তরুণীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল। সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ওসিসির সামনে আগে থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ওই তরুণী ছাড়পত্র নিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে জোর করে তুলে নেয়া হয়েছে। এসময় ডুমুরিয়ার ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে জনতা। ওই চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই।
তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার জন্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন তরুণী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদ অনেক দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তরুণী।
ওই তরুণী বলেন, মধুগ্রাম কলেজে পড়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করছে। আজও সে (শনিবার রাতে) আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।