বাংলাদেশে নিজের আধিপত্য বাড়াতে চাইছে চিন সরকার। এরই মাঝে বাংলাদেশের মোংলা বন্দর পরিচালনার অধিকার পেল ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ভারতের চিনের বিরুদ্ধে একটি বড় কৌশলগত বিজয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন সফরের পরেই ভারত মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনালের অপারেশনাল অধিকার পেল ভারত।
বাংলাদেশে নিজের আধিপত্য এবং দাপট বাড়াতে চাইছে চিন। এই সময়েই চিনকে টেক্কা দিল ভারত। বাংলাদেশের মোংলা বন্দর পরিচালনার অধিকার পেয়েছে ভারত। এটাকে চিনের বিরুদ্ধে একটি বড় কৌশলগত বিজয় বলে মনে করছেন অনেকেই। দিন কয়েক আগেই বেজিং সফর করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই চিন সফরের পরেই ভারত মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনালের অপারেশনাল অধিকার পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে চিন তার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে, সেখানে বাংলাদেশের একটি বন্দর আধা-নিয়ন্ত্রণ অর্জন ভারতের সামুদ্রিক প্রতিযোগিতাকে একটি বড় উৎসাহ দেবে। উল্লেখ্য, এর আগে ইরানের চাবাহার এবং মায়ানমারের সিট্টাও বন্দর পরিচালনা করার অধিকার পেয়েছে ভারত।
বাংলাদেশের এই বন্দর পরিচালনা করার চুক্তি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুসারে মোংলা বন্দরের ওই টার্মিনাল পরিচালনা করবে ইন্ডিয়ান পোর্ট গ্লোবাল লিমিটেড। জানা গিয়েছে, চিন সফরে যাওয়ার আগে হাসিনা দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যখন বৈঠক করেন সেই সময়েই ওই বন্দর নিয়েও কথা হয়।
তারপরেই এই সংক্রান্ত চুক্তি হয়। চট্টগ্রামের পরে, এই বন্দরটিই বাংলাদেশের সবথেকে বড় বন্দর। এটির পরিচালনার ভার পাওয়ার পরে কৌশলগতভাবে অনেকটাই সুবিধা পাবে ভারত বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বিশাখাপত্তনম চেন্নাই সহ ভারতের একাধিক বন্দর ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা বাড়াতে চাইছে বাংলাদেশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনকে টেক্কা দিয়ে বাংলাদেশের ওই বন্দর পরিচালনার অধিকার পাওয়ার পরে ভারত মহাসাগরের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অবস্থানগুলিতে প্রভাব বাড়াতে পারবে ভারত। একই সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ভারতের ভূমিকা আরও শক্তিশালী হবে বলেও আশা করছেন তাঁরা।