গাজা এখন মৃত্যুপুরীর মতো একটি শহরে পরিণত হয়েছে। সেখানকার স্বাস্থ্য, সামাজিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, গাজার বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে। ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, আরও অনেকে নিখোঁজ, অনেককে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং অনেকে আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় দেশটির প্রায় ৩০ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭০ হাজারেরও বেশি। অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩৯ জন।
গাজার আল-আমল হাসপাতালের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। ইসরায়েলি বাহিনী ওই হাসপাতাল ১ মাস ধরে অবরোধ করে রেখেছে। সেখানকার চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা দূরে থাক, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাও পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে।
দেশটির গণমাধ্যম এবং তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের প্রধান ইসমাইল আল থাওয়াবতে বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে তিন সপ্তাহ ধরে কোনো খাবার নেই। ভয়াবহ খাদ্য বিপর্যয়ে পড়েছে শহরটি। পশুর খাদ্য খেয়ে সেখানকার মানুষ বেঁচে আছেন প্রায় মাসখানেক ধরে।
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আলোচনার প্রস্তাবের খসড়া উপস্থাপন করতে চায়। কিন্তু ইসরায়েলি দূত যুদ্ধবিরতির ধারণাটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করলে সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের এই শহরটি এখন ধ্বংসস্তূ্পে পরিণত হয়েছে।