গণহত্যার প্রতিবাদসহ শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী পৌর শহরের বড় চৌরাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে চৌরাস্তায় পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।
এ সময় বক্সের ভিতরে থাকা ৭১ টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক আহসানুল কবির রিপন ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপদ দূরত্বে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় অবস্থান করেছিল। বর্তমানে পটুয়াখালীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মিছিল নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে ছাত্রদল, যুবদল ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সদস্য আইনজীবীরা। আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের শত শত নেতা কর্মীর অংশগ্রহণে মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তাদের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।