রাসেল মোল্লাঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মোয়াজ্জেমপুর ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে রাতের আঁধারে সারকারি নতুন পাঠ্য বই কেজি দরে বিক্রির পর ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রাকসহ চার টন বই জব্দ করেছে প্রশাসন।
রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ মহিপুর থেকে ট্রাকসহ বইগুলো জব্দ করেন।
ঝিনাইদহের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের কাছে ২০ টাকা কেজি দরে ৫৪ হাজার টাকায় এ চার টন পাঠ্য বই বিক্রি করেছেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল একেএম আবুবকর সিদ্দিক ও বাংলা প্রভাষক মো. হাসান। জব্দ করা বইগুলো মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, চারুপাঠ, কৃষি শিক্ষা, আনন্দপাঠ, গার্হস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের। বইগুলোর ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষের।
কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য বই অতিরিক্ত থাকলে তা জমা দিতে হয়। সরকারি পাঠ্য বই বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ মালেক আকন্দ বলেন, মাদ্রাসার পুরাতন কাগজ বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পাঠ্য বই বিক্রির কোন রেজুলেশন হয়নি। এ দায়ভার মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের। এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল একেএম আবুবকর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ জানান, রাতের আঁধারে সরকারি বই বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তারা বইগুলো আটক করে মহিপুর থানা হেফাজতে রেখেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সরকারি পাঠ্য বই অব্যবহৃত থাকলে সরকারি গুদামে জমা দিতে হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কি প্রক্রিয়ার বইগুলো বিক্রি করেছেন তা তদন্ত করা হচ্ছে। কোন আইনের ব্যত্যয় হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।