বিয়ে করবেন, কিন্তু কর দেবেন না। এখন থেকে তা হবে না। এমনই নিয়ম চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রথম বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষকে দিতে হবে ১০০ টাকা কর। চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রে এই করের পরিমাণ দাঁড়াবে পঞ্চাশ হাজারে। করপোরেশন বলছে, বিয়ের নিবন্ধনে শৃঙ্খলা আনতেই নেয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ।
রাজধানীর দক্ষিণ সিটি এলাকায় অবস্থানকারী সব ধর্মের অনুসারীরাই পড়বেন এই নিয়মের আওতায়। কর নির্ধারণে ১ম দফায় নমনীয়তা রাখা হলেও দ্বিতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসে গেলে গুণতে হবে কয়েকশ’ গুণ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এলাকার কেউ দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা করলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াও লাগবে ৫০০০ টাকা কর। তবে স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বন্ধ্যা হলে উপরোক্ত শর্তপ্রযোজ্য হবে না। সেক্ষেত্রে বিয়ের সময় পাত্র পক্ষকে দিতে হবে ২০০ টাকা কর।
এ প্রসঙ্গে ঢাদসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান বলেন, মূলত বর পক্ষকেই এই অর্থ দিতে হয়। বিবাহ রেজিস্ট্রেশানে, কনের ওপর সন্মান কিংবা শ্রদ্ধা রেখে দিতে হবে এই ধার্যকৃত অর্থ।
দেশে নতুন এই প্রজ্ঞাপনে নারীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে করের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কিছু উল্লেখ নেই। এমনকি উল্লেখ করা হয়নি বিবাদ বিচ্ছেদের পর যিনি বিয়ে করবেন, তার ক্ষেত্রে কর আদায়ের হার কী হবে। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকেই শুরু হয়েছে বিবাহ কর আদায়।
তিনি আরও বলেন, এই নতুন নিয়মটি প্রয়োগ করার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে বিশেষ করে কাজী সাহেবদের থেকে শুরু করে আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে এই নিয়মটি কার্যকর করা হয়েছে।
২০১৬ সালে এই সংক্রান্ত আইন থাকা স্বত্বেও বিভিন্ন কারণে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়নি বলে জানানো হয় সিটি কর্পোরেশনের তরফ থেকে।
মো.মিজানুর রহমান বলেন, যেসব জোড়া কাজী অফিসে বিয়ে করবে, সেখানেও একটি মাণদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে বিবেচনা করতে হবে। ধরে নেয়া যাক, বিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ডে কোন কাজী অফিসে বিয়ে হলে, সেইখানে ধার্যকৃত অর্থ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, নিজস্ব কর আদায়ের ক্ষেত্রে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের জন্য এই নিয়ম। তবে, এই বিবাহ কর আদায়ে খুব একটা তৎপরতা নেই উত্তর সিটি কর্পোরেশনের।