জাতিসংঘ কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্ধারিত ভূখণ্ডের যেসব অঞ্চল ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল দখল করে রেখেছে তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে তুরস্ক ও আরব দেশগুলো।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) শুনানিতে এই আহ্ববান জানায় বেশ কয়েকটি আরব দেশ ও তুরস্ক। সেই সঙ্গে ‘দখলদারিত্বকে’ দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে প্রকৃত বাধা বলেও বর্ণনা করেছে তুরস্ক।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুরোধে, দখলদারিত্বের ফলে ইসরাইল যেসব আইনি পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে এ বিষয়ে ৫০ টি দেশের মতামতের শুনানি করছে আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত।
শুনানির ষষ্ঠ ও শেষ দিন তুরস্কের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ইলদিজ বলেন, এই অঞ্চলে সংঘাত সৃষ্টির প্রধান কারণ ইসরাইলি দখলদারিত্ব।
তিনি বলেন, “৭ই অক্টোবরের পরে অসামঞ্জস্য পরিস্থিতি আবারো প্রমাণ করে যে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন প্রকৃত সমস্যার সমাধান না করা ছাড়া এই অঞ্চলে কোন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।” সেই সঙ্গে এসব দখলকৃত অঞ্চল গুলোকে অবৈধ ঘোষণা করারও দাবি জানান আহমেদ ইলদিজ।
প্রসঙ্গত, আইসিজেতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশগ্রহণ করেনি দখলদার ইসরাইল। তাদের দাবি আদালতের মাধ্যমে এই সংঘাতের আলোচনা ক্ষতিকারক হতে পারে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনের জন্য। সেই সঙ্গে আদালত কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্ন গুলোকে পক্ষপাতমূলক বলেও অভিহিত করেছে অবৈধ দেশটি।
একই দিনে, দখলদারিত্বকে ‘আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার অবমাননা’ বলেও উল্লেখ করেছেন আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল গীত।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর