অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আরিফুল ইসলামের নান্দনিক সেঞ্চুরির পর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির ঘুর্ণিতে উড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টাইগার যুবারা জয় পেয়েছে ১২১ রানে। এই জয়ে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট চার। একইসঙ্গে সুপার সিক্সও নিশ্চিত করলেন রাব্বিরা।
বাংলাদেশের দেয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। অধিনায়ক রাব্বি ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩১ রানে শিকার করেছেন চারটি উইকেট। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন ওপেনার প্রণব চেট্টিপালায়ম। রান আউটে কাটা পড়ার আগে তিনি খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই দেখেশুনেই খেলছিলেন দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও আদিল বিন সিদ্দিক। তবে দলীয় ২৯ রানে গার্গের বলে প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আদিল। শর্টে দাঁড়িয়ে দূর্দান্ত ক্যাচ নেন প্যাটেল। ভালো শুরু করা শিবলিও ফেরেন প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তিনি খেলেন ২৭ রানের ইনিংস।
তিনে নামা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংসকে বেশি দূরে নিতে পারেননি। তার উইকেটেও অবদান প্যাটেলের। এবার বোলিংয়ে এসে রিজওয়ানকে সাজঘরে ফেরান এই প্যাটেল। ফেরার আগে রিজওয়ান ৪০ বলে ৩৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন।
৯৪ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের এরপরই শুরু হয় আরিফুল-আহরার আমিন ‘ঝলক’। যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের বল একের পর এক বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে এই জুটি মাত্র ১১৫ বলেই সংগ্রহ করে ১২২ রান। অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে নাদকারনির শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে আহরার ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
তবে অপরপাশে টিকে থেকে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল। ৯৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এই ব্যাটার। এটি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১০৩ বলে ১০৩ রান করে গার্গের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে থামে তার দান্দনিক ইনিংস। আরিফুলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চারে।
শেষদিকে শিহাব জেমসের ১৭ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস এবং জীবনের ৭ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উকেট হারিয়ে ২৯১ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আরইয়া গার্গ তিনটি এবং আরিন নাদকারনি শিকার করেন দুইটি উইকেট।