ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করিম বলেছেন, নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরও উৎসাহিত হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে যশোরের বাঘারপাড়া মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী ফয়জুল করিম বলেন, এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয় নাই। একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং, ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
মুফতী ফয়জুল করিম আরও বলেন, বিগত হাসিনা সরকার দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঘারপাড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর জেলা সভাপতি মিয়া মুহাম্মাদ আব্দুল হালিম, বামুক সদর মুহাদ্দিস গোলাম আজম, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা নাজমুল হুদা, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তাহের, মাওলানা ওলিউর রহমান। সংগঠনের বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী প্রভাষক মাওরানা ফজলুল করীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।