বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধার বাসভবন’ লেখা একটি সাইনবোর্ড টানানো বাড়ির খোঁজ মিলেছে পটুয়াখালীতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইনবোর্ডটির একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে।
এর আগে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি। তাই খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বাড়ির মালিক ইলিয়াস হোসেন।
এ নিয়ে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই সারাদেশে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পরে এ ব্যাপারে জানতে সরেজমিনে যাওয়া হয় ওই বাড়িতে। পটুয়াখালী শহরের কাজীপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী চক্ষু হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বাড়িটি ইলিয়াস হোসেন নামে এক ব্যক্তির।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই ব্যক্তি তার বাসার প্রধান ফটকে সাইনবোর্ডটি লাগান। সাইনবোর্ডে লেখা, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের-২০২৪-এর অন্যতম সহযোদ্ধার বাসভবন।’
ইলিয়াস হোসেন জানান, তার মেয়ে নুসরাত জাহান স্বপ্না পটুয়াখালী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বপ্না। মেয়ের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই প্রায় এক মাস আগে বাসার গেটের সামনে সাইনবোর্ডটি টানান তিনি।
স্বপ্নার মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমার স্বামী এবং মেয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমার স্বামী কোনো কিছু পাওয়ার জন্য এই সাইনবোর্ড টানাননি। আমি ওনাকে মানা করেছিলাম এমন সাইনবোর্ড না টানানোর জন্য কারণ এতে মানুষ হাসাহাসি করবে। কিন্তু তিনি তার ভালো লাগার জায়গা থেকেই এই কাজটা করেন।
বাড়ির মালিক ইলিয়াস হোসেনেরও দাবি একই। তিনি বলেন,‘পটুয়াখালীতে আন্দোলন করেছি, চৌরাস্তা থেকে শহীদ মিনার ছিল আমাদের দখলে। আমরা সবাই একত্রে ছিলাম, এক সারিতে ছিলাম। আমার মেয়েও এই আন্দোলন করেছে এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজে পড়ছে। ভালো লাগা থেকেই ৫ আগস্টের পর বাসার সামনে সাইনবোর্ডটি দিয়েছি। এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।’
তবে, প্রতিবেশীরা বলছেন, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন, তারা এমন সাইনবোর্ড লাগালে সেটি মানা যায়। কিন্তু যাদের কিছু হয়নি, তারা এভাবে সাইনবোর্ড লিখে ভবনের সামনে ঝোলালে তা চোখে লাগে।