রাসেল মোল্লা, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান খান ওরফে ফোরকান মাস্টারের বিরুদ্ধে আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তার একাধিক ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা গেছে তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ফুটেজে দেখা যায়, ফোরকান মাস্টার ৫ আগস্টের আগেও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিয়েছেন। এমনকি শেখ রাসেলের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুল দিতে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এ ধরনের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দলের ভেতরে এ নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে, ফোরকান মাস্টার আদতে কোন দলের জন্য কাজ করছেন?
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদককে আওয়ামী লীগ বলে চিহ্নিত করে রাতের আঁধারে গ্রেফতার করানোর পেছনেও ফোরকান মাস্টারের হাত রয়েছে। এছাড়া, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধক্ষ্যের বৃদ্ধা মায়ের ওপর হামলার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের এক নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, আওয়ামী ঘরানার সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য প্রকাশ করায় ফোরকান মাস্টার ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠিয়ে তার বাড়িতে হামলা ও তল্লাশি চালিয়েছেন।
এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ফোরকান মাস্টারের অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতা বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে আনার কথা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ফোরকান মাস্টারের বিরুদ্ধে দলে শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে কিনা, তা নিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি।