ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা, ‘অত্যাচারীর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার বন্ধুর ওপরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘২৪ এর বাংলায়, অত্যাচারীর ঠাই নাই’, ‘জবাব চাই, বিচার চাই, করতে করতে হবে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগে, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের ইংলিশ বিভাগের ২য় বর্ষের (২১-২২ সেশনের) ছাত্র মারুফ রেজা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘গতকাল রাতে আমার জীবনের সব থেকে জঘন্য কালো অধ্যায়ের রচনা হয়। ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ণ হলে ৩০১ নাম্বার রুমে গতকাল রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আমার উপর চলে অকথ্য নির্যাতন।
যারা নির্যাতন করে তাদের নামও ওই পোস্টে উল্ল্যেখ করেন তিনি। বলেন, তার হলো– রাহাত (দক্ষিণায়ণ ৩০১, ম্যানেজমেন্ট ৪র্থ বর্ষ), সালাউদ্দিন (পরিচয় জানতে পারিনি), শিহাব (৪র্থ বর্ষ, নর্থ হল) এবং অর্ণব (৪র্থ বর্ষ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, দক্ষিণায়ণ)।
ঘটনার সূত্রপাত হিসেবে তিনি জানান, প্রথমে সালাউদ্দিন ভাই তার বন্ধুদের সাথে রুমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিলো। এক পর্যায়ে আমি সালাউদ্দিন ভাইকে বলি ভাইয়া গালাগালি কইরেন না ছোট ভাই পড়ছে পাশে। এটা শুনে আমার উপর তেড়ে আসে মারার জন্য।
তখন আমার রুমের রামিম ভাই এবং ৪ তলার রাহাত ভাই ঠেকাতে আসলে তাদের গালাগালি করে। এর পর রাহাত ভাই নর্থ হল থেকে সিয়াব ভাইকে ডেকে এনে রুম আটকিয়ে দেয়। এরপর রাত ১ টা থেকে ৪ পর্যন্ত আমার ওপর নির্যাতন করে এবং একপর্যায়ে আমি স্যারদের বলার জন্য ফোন দিতে গেলে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
আমি সেসময় কি করবো বুঝতে পারছিলাম না তখন ডিপার্টমেন্ট বন্ধু সিআর ইমরান কে কল দিয়ে বাঁচাতে বললে সে রাত সাড়ে ৪ টায় আমার হলে নিচে আসে, তারপর আমি বের হই। তাকে সব খুলে বললে সে আমাকে কলেজ গেট পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে বড় ভাইয়ের ঢাবির হলে ঢুকে পড়ি। তারপর সকালে বাড়ি চলে আসি।’
মারুফ রেজা আরও জানান, অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে হাবিব হাওলাদার শিহাব ওরফে আশফাকুর রহমান শিহাব কলেজ ছাত্রদলের সহ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক। আর বাকিরা তার সহযোগী।