কোলেস্টেরলকে বলা হয় নীরব ঘাতক। অথচ এই চর্বিযুক্ত পদার্থ দেহে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। সমস্যা হলো, দেহে যখন কোলেস্টেরল সহনীয় মাত্রা পার করে ফেলে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকে অনেক পন্থার আশ্রয় নেন। তবে ঘরোয়া কিছু পন্থাতেই এই সংকট নিরসন সম্ভব। চলুন জেনে নেই সমাধানগুল
এক কাপ গ্রিন টি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। পুষ্টিবিদ রূপালী দত্তের মতে, গ্রিন টিতে পলিফেনলের সর্বোচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা কেবল এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতেই সাহায্য করে না বরং এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। ফলে আপনার সুস্থ থাকা আরও সহজ হয়।
ব্ল্যাক টি
সেলুলার ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্ল্যাক টিতে ক্যাটিচিন নামক কিছু যৌগ রয়েছে। যা আয়ন চ্যানেল প্রোটিন সক্রিয় করার মাধ্যমে রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে। যে কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
বিটরুটের জুস
আবার একাধিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, বিটরুটে নাইট্রেটের উচ্চ উপাদান নাইট্রিক অক্সাইড নামক একটি গ্যাস তৈরি করে, যা রক্তনালীকে শিথিল এবং প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত প্রবাহের উন্নতি হয়। শীতে বাজারে গেলেই বিটরুট চোখে পড়বে। পশ্চিমা রাষ্ট্রে বিটরুটের জুস অনেক জনপ্রিয় কোলেস্টেরল কমাবে। বিটরুটে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে।
কমলার জুস
ডিকে পাবলিশিং-এর হিলিং ফুডস বই অনুসারে, কমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফলে হেস্পেরিডিন থাকে। এই উপাদানটি উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পেকটিন (ফাইবার) এবং লিমোনয়েড যৌগও কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
লেবু পানি
লবণ দিয়ে লেবুর শরবত। ওজন কমাতে কার্যকর। আবার লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের দেহে কোষের প্রদাহ কমায় ও হৃদপিণ্ডে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। আর হৃদপিণ্ডে রক্তসঞ্চালন বাড়লে আপনার সুবিধা। প্রতিদিন লেবু পানি পান করার অভ্যাস এজন্যই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভালো। অন্তত অন্য কোমল পানীয় এড়ানোর সুযোগ মিলবে।